ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় মহড়া

ইমাম খাইর, কক্সবাজার ::
ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইসলামী ব্যাংক রেসিডেন্সিয়াল মাদরাসার মাঠে মহড়ায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ।

খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক কোম্পানির সভাপতিত্বে দুর্যোগ প্রশমন বিষয়ক মহড়ায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলেন ধরেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধের আবেদন জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক সনত কুমার ভৌমিক, টিয়ার ফান্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সনজীব ভাঞ্জা, সিপিবি কক্সবাজারের উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমিন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের রামু স্টেশন অফিসার সোমেন বড়ুয়া, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম আনোয়ার, রামু প্রেস ক্লাবের সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া, সুজনের উখিয়া সভাপতি সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ সিকদার, উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক আজাদ।

‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতিই একমাত্র উপায়’ এই লক্ষ্যে সিপিবি কক্সবাজারের পরিবেশনায় মহড়ায় পথনাট্য মঞ্চ, দুর্যোগ সম্পর্কিত ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন এবং সংগীত পরিবেশন করা হয়।

তাহরিমা আফরোজ টুম্পা ও মিজানুর রহমান বাহাদুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ও কক্সবাজার আঞ্চলিক টিম লিডার জাহাঙ্গীর আলম, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. ইউনুছসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার জেলাসহ বাংলাদেশের নয়টি উপকূলীয় জেলায় আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে আসছে কোস্ট ফাউন্ডেশন।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বলপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে আগমণের পর থেকে মানবিক সেবামূলক কাজে নিয়োজিত রয়েছে। জেলা প্রশাসন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশন, উপজেলা প্রশাসন এবং ক্যাম্প অফিসের সাথে সমন্বয় করে যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।
কক্সবাজার জেলায় প্রতি বছর নানাবিধ দূর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে। বিশেষ করে পাহাড় ধস, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, আগুন ইত্যাদি। এসব দূর্যোগে জীবন এবং জীবীকায় নানাবিধ প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় মানুষের প্রস্তুতি ও সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় টিয়ারফান্ডের অর্থায়নে দূর্যোগের ঝুঁকি প্রশমন বিষয়ক এই মহড়া।

যেখানে পাহাড়/ ভূমি ধস, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস এর সময় করণীয়, বন্যার সময় ওকনা খাবার রাখার নিয়ম, শিশুদের সাতার কাটা শিখানো, বন্যার সময় চুলা বানানো, পানি বিশুদ্ধ রাখার পদ্ধতি, পাহাড়ী এলাকায় ড্রেনেজ নিয়ম, বন্যায় কাপড় পরিধানের পদ্ধতি প্রদর্শন হয়।

পাঠকের মতামত: